নির্মম
অযান্ত্রিক
যেভাবে পরিনামি কপাল, মেনে নেয় ভালোবাসার তরল শব্দ,
চেটে যায় ব্যাস্ত রক্তের স্বাদ, বেশরম ছুটে চলা সময়ের প্রতিনিধি।
সারি সারি সম্পর্কের নিশানধারী, প্রিয় বিষয়গুলো আদপে নিঃস্তব্ধ,
এভাবে বাঁচার অজুহাত, বরাবরই বড় খেলো, চৌকাঠে আটকে পৃথিবী।
আঁচলের খুঁটে,
প্রিয়তমা বেঁধে রেখে ,বাকি সম্পর্ক দেখি যদিও ধুঁয়াশা চোখে,
লিঙ্গের ছায়া, মাংসের প্রকার ভেদে,লোভের কোনো বিকল্প দেখিনা আজ।
ফুলের বাগানে বা বন্দরে আঁশটে গন্ধ খুঁজে বার করছে যত লোকে,
তারাই সময়ের ভাগফল ,তাদেরও পুঁজছে রণক্লান্ত
এই সমাজ।
সভ্যতা জমা মাংসের দোকানীর কাছে রক্তে মিশে কামুকের মিশ্রতা,
তৃপ্তি সূচক রক্তিম আঁধার রেখায় মেনে নেয় তবু শারীরিক আস্ফালনে।
বার বার হেরে ভালোবাসার বাজি খেলায়, শেষ দানে পরে থাকে শুধু নিস্বতা,
লালসার সুমহান চিৎকারে মরে প্রজাপতি সমাজের নন্দন কাননে।
যে হাতে যমের দুয়ারে ফেলেছে কাঁটা সে হাত দুমড়ে ভেঙ্গেছোও অজান্তেতে,
কপালে তরল শব্দের ছাউনী জুড়ে খেলেও যায় লোভ যেমন অপরিচয়ে।
জোড়া চাহুনি জরিপের সীমানায় সম্পর্কেরা প্রান্তিকসংগতে,
উদযাপনের ভাবনার দেয়াল ঘেঁষে ভাইফোঁটাও শুধু উষ্ণতা হারায়।
(অরূপ রায়)