চুপিসারে
চুপিচর
শিলাবৃষ্টি (করকাশ্রী
চট্টোপাধ্যায়)
হাতছানি দেয় দূরের
আকাশ
হাতছানি দেয় নদী,
প্রহর গুনি পা বাড়িয়ে
সহচর হও যদি!
আঁধার থাকতে ঘরের
বাহির
হলেম চুপিসারে
নানান দেশের নানান
পাখী
আসছে চুপিচরে।
বিশাল একটা নদী সেথা
নেইকো মোটেই জল,
মনের কোণে সংশয় হয়-
বোধহয় একটি স্থল।
পানায় পানায় ফুল
ফুটেছে
নৌকো তটে বাঁধা,
অপর পারে মায়াপুরে
আছেন কৃষ্ণ-রাধা।
ছোট্ট ডিঙি, একটি মাঝি
ভাসলো মোদের খেয়া,
চুপ্ চুপ্ চুপ্
নির্জনতা
অনেক কিছু পাওয়া।
মাছরাঙারা ডুব দিল ঐ
পানকৌড়ির মেলা,
অরুণ আলো অস্তগামী-
শুভ্র বকের খেলা।
হিমেল পবন, শীতের আবেশ
যেই লাগলো গায়ে,
পরিযায়ী সব খেচরগুলো
আসছে পায়ে পায়ে।
হেরনস্, ইরিস, নাইটজারস্ আর
ইষ্ট আফ্রিকান
ক্রেইন,
গ্রেট্ হরনবিল, কুকাবুরা
ক্যাপথিকনী সোয়ান্।
নামীদামী পাখীরা সব
ঝাঁকে ঝাঁকে আসে;
মিতালীর হাত বাড়িয়ে
ময়না বসে পাশে।
পায়রা ডাকে বকম্ বকম্
ডাহুক ঝাঁকায় ডানা,
কমন্ প্যারট উড়ে এসে
বসল যেথায় পানা।
নামনা জানা বিশাল আকার
কী যেন এক পাখী…
উড়ল নভে -রঙিন ডানায়
অস্ত আলো মাখি।
ভেসে চলে ডিঙি মল্লার
হাতে
মন্থরে চুপিসারে,
কমে আসা আলো,সন্ধ্যাঘনায়
আমি আর সহচরে…
অবাক পৃথিবী হাতছানি
দেয়
ভরে যায় দুটি মন
শৈত্য আবেশে তুমিও
বন্ধু
এসো না কিছুক্ষণ।