তোর চোখে রাখি চোখ
প্রবীর কুমার চৌধুরী
তোর চোখেই চোখ রেখে বাঁচতে চেয়েছি
কিছুকাল,
তোর বুকেই কান পেতে শুনতে চেয়েছি অনন্তকাল –
প্রেমানন্দর নুপূরছন্দ, মৃদু মন্দ,
পরাজয়হীন পরমানন্দ।
তোর বুকেই কান পেতে শুনতে চেয়েছি অনন্তকাল –
প্রেমানন্দর নুপূরছন্দ, মৃদু মন্দ,
পরাজয়হীন পরমানন্দ।
ক্রমান্বয়ে আর্তের চিৎকার, ছড়ানো, ছিটানো অহংকার –
দুর্নিবার আত্মগ্লানি সাজানো থরে, থরে; থেমে গেছে প্রতিকার,
প্রতিটি শাড়ির ভাঁজে, ভাঁজে লুন্ঠিত সম্মান,
আর্তনাদে সাড়াহীন আজ দুর্নিবার অভিমান।
দুর্নিবার আত্মগ্লানি সাজানো থরে, থরে; থেমে গেছে প্রতিকার,
প্রতিটি শাড়ির ভাঁজে, ভাঁজে লুন্ঠিত সম্মান,
আর্তনাদে সাড়াহীন আজ দুর্নিবার অভিমান।
স্বার্থ মগ্নতায় কেটে যায় বেলা, রুচিহীনতায় দলভারী,
যে যার মুল্লুক তার যেন পৈতৃক জমিদারি।
আপ্লুত হয় না কেন? অভিনন্দন নেই কোন কাজে,
কত অরন্ধনে চোখের জল দেখি সকাল, সাঁঝে।
যে যার মুল্লুক তার যেন পৈতৃক জমিদারি।
আপ্লুত হয় না কেন? অভিনন্দন নেই কোন কাজে,
কত অরন্ধনে চোখের জল দেখি সকাল, সাঁঝে।
প্রতিটি ভোরের পিঠে করুণ ঋণের বোঝা,
গাছেতে ঝুলছে জীবন, দুঃখের ভারে নুজ্য, হয়না সোজা,
ঘুমহীন চোখে জেগে থাকা একা, নেই কোন প্রত্যাশা –
দিবানিশি আত্মরম্ভতায় উন্মত্ত কামনায় নিমজ্জিত সতীত্ব নাসা।
গাছেতে ঝুলছে জীবন, দুঃখের ভারে নুজ্য, হয়না সোজা,
ঘুমহীন চোখে জেগে থাকা একা, নেই কোন প্রত্যাশা –
দিবানিশি আত্মরম্ভতায় উন্মত্ত কামনায় নিমজ্জিত সতীত্ব নাসা।
কেন জন্মদিলি মা? এ পৃথিবী যে সর্বনাশা,
দেহ ছিঁড়ে খায় ক্ষুধার্ত বাহুবলি, কুমারী খোঁজে নিষ্ফল ভালোবাসা।
সূর্য আজ রাঙায় না কোন বিধবার শূন্য সিঁথি,
আয় না, কামনাহীন, লোভহীন প্রাণের জন্ম দিয়ে ভরাই এ শূন্য বীথি!
দেহ ছিঁড়ে খায় ক্ষুধার্ত বাহুবলি, কুমারী খোঁজে নিষ্ফল ভালোবাসা।
সূর্য আজ রাঙায় না কোন বিধবার শূন্য সিঁথি,
আয় না, কামনাহীন, লোভহীন প্রাণের জন্ম দিয়ে ভরাই এ শূন্য বীথি!
(গড়িয়া, কলকাতা)